ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং ভিসার দাম ২০২৪, ইউরোপের মধ্যে সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে উন্নত একটি রাষ্ট্র হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। যেখানে বাংলাদেশের হাজারো শ্রমিক ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যায়। সাধারণত ক্রোয়েশিয়া কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে হবে। কারণ বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মতোই এই দেশেও কাজের জন্য শুধু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু আছে।
মূলত বর্তমান সময়ে ক্রোয়েশিয়ার ভিসা প্রসেসিং করা অনেক কঠিন এবং খরচও অনেক বেশি। যখন ক্রোয়েশিয়ার সরকার বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিবে তখন আপনারা অল্প খরচে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও এজেন্সির সাথে কথা বলেও ভিসার আবেদন করতে পারবেন কিন্তু খরচ অনেক বেশি পড়বে। তবে তার আগে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাই আজকের পোস্টে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ভিসার দাম তুলে ধরবো।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
সাধারণভাবে যদি ক্রোয়েশিয়া কাদের জন্য যেতে চান তাহলে ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। কারণ ক্রোয়েশিয়ায় কাজের জন্য শুধু ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে ক্রোয়েশিয়ার কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া অনেকটাই কঠিন এবং খরচও অনেক বেশি। বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে ক্রোয়েশিয়ার সরকার বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে।
তখন আপনারা ঘরে বসে নিজেরাই অনলাইনে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা বাংলাদেশের কোন এজেন্সির সাথে কথা বলেও ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার খরচ সহ যাবতীয় সকল খরচ অনেক বেশি হবে। তবে যদি আপনাদের পরিচিত কোন লোক থাকে তাহলে তাদের সাহায্য নিয়ে এজেন্সির মাধ্যমে একদম অল্প খরচে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
তবে ক্রোয়েশিয়া কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই যে কোন কাজের ওপর অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। কারণ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় এই দেশে সব ধরনের কাজের মান এবং কাজের বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়। তবে সাধারণ কাজের তুলনায় ক্রোয়েশিয়ার কোম্পানি কাজের বেতন বেশি পাওয়া যায়। ক্রোয়েশিয়ার কোম্পানির কাজে যেতে চাইলে কোম্পানির সার্কুলার অনুযায়ী এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারেন।
ক্রোয়েশিয়া কাজের ভিসা
বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কয়েক ধরনের ভিসা চালু রয়েছে। তবে অন্যান্য ভিসার তুলনায় ক্রোয়েশিয়ার কাজের ভিসা অর্থাৎ ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অনেকে এখন ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সার্কুলার অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। তবে অধিকাংশ লোকের ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজ আছে তা জানা থাকে না। তাই এখন আপনাদের মাঝে ক্রোয়েশিয়া পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজ আছে সেগুলো কাজের নাম তুলে ধরবো।
- কনস্ট্রাকশন এর কাজ।
- মেকানিক্যাল এর কাজ।
- ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ।
- ড্রাইভিং ভিসার এর কাজ।
- রেস্টুরেন্ট এর কাজ।
- ডেলিভারি বয় এর কাজ।
- ফুড প্যাকেজিং এর কাজ।
- টাইলস মিস্ত্রি এর কাজ।
- রাজমিস্ত্রি এর কাজ।
- কৃষিকাজ এর কাজ।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত
বর্তমান সময়ে ক্রোয়েশিয়া কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে হবে। প্রতিবছর যখন ক্রোয়েশিয়ার সরকার কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয় তখন অনেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম কত বা খরচ কত তা অনেকের জানা থাকে না।
মূলত যদি ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে ভালো কোন কাজের ভিসায় যেতে চান তাহলে সাধারণ কাজের তুলনায় ভিসা করতে অনেক টাকা খরচ পড়বে। বর্তমানে যদি ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে চান তাহলে সব মিলিয়ে সর্বমোট ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।
আরো পড়ুনঃ ক্রোয়েশিয়া কোন কাজে চাহিদা বেশি ও বেতন কত
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী
মূলত ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশি অর্থাৎ ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজ আছে ও সেগুলো কাজের সকল তথ্য, বেতন এবং যাবতীয় খরচ বোঝায়। এখন প্রায় অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করার জন্য ইউরোপের মধ্যে উন্নত কোন রাষ্ট্রে যায়। অনেকের এখন পছন্দের সেনজেনভুক্ত একটি উন্নত দেশ হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া।
যেখানে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কাজের জন্য অর্থাৎ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যায়। সাধারণভাবে যদি এজেন্সির মাধ্যমে ক্রোয়েশিয়া কাজের জন্য যেতে চান তাহলে ভিসা প্রসেসিং করতে অনেক টাকা খরচ পড়বে। সে ক্ষেত্রে আপনারা অল্প খরচে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ক্রোয়েশিয়ার সার্কুলারের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন
বর্তমান সময়ে অনেকে ক্রোয়েশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে চায়। সাধারণত ক্রোয়েশিয়া কাজের জন্য যেতে চাইলে ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে। অনেকে এজেন্সি অথবা বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এখন অনেক দালাল বা এজেন্সি সাধারণ মানুষদের অবৈধ ভিসা তৈরি করে দিয়ে থাকে।
পরবর্তীতে ওই ভিসা নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেক্ষেত্রে অনেকে হাতে ভিসা পাওয়ার পর ভিসাটি আসল নাকি নকল তা চেক করতে চায়। আপনারা https://wwicsgroup.com/immigrate-to/europe/croatia-work-permit/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ভিসা চেক করার জন্য যাবতীয় সকল তথ্য দিয়ে খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা ভিসাটি চেক করে নিতে পারবেন।
ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং টাইম
অনেকে ক্রোয়েশিয়া কাজে যাওয়ার জন্য ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা কাজের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। কিন্তু কিছু কিছু সময় দেখা যায় ভিসা প্রসেসিং হতে অনেক সময় লাগে। যদি কাগজপত্র ঠিকঠাক ভাবে না দেন তাহলে ভিসা প্রসেসিং হতে অনেক সময় লেগে যায়। এজন্য অনেকে জানতে চায় ক্রোয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে।
ক্রোয়েশিয়া ভিসা আবেদনের সময় যদি সঠিকভাবে সকল কাগজপত্র দিয়ে থাকেন তাহলে সর্বনিম্ন ৪৫ দিন থেকে ৯০ দিন লাগবে। তবে মাঝে মাঝে ভিসা প্রসেসিং হতে এর থেকেও বেশি সময় লেগে যায়। এজন্য আপনারা ভিসা আবেদন করার সময় সঠিকভাবে সকল কাগজপত্র দিবেন এবং ভিসা আবেদন ফরমটি সঠিক নিয়মে পূরণ করে দিবেন।
শেষ কথাঃ
অনেকে ইউরোপের মধ্যে উন্নত ক্রোয়েশিয়ায় কাজের জন্য যেতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ লোকের ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ভিসার দাম যারা থাকে না। তাই আজকের পোস্টে প্রিয় গ্রাহকদের সুবিধার্থে ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য এবং ভিসার দাম তুলে ধরেছি।