তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | তুরস্ক বেতন কত ২০২৪, বিশ্বের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির দেশ এবং শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র হচ্ছে তুরস্ক। এখন অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় তুরস্কে সব ক্যাটাগরির কাজের মান এবং কাজের বেতন অনেক বেশি। এজন্য বাংলাদেশের হাজারো শ্রমিক এখন তুরস্কে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চায়। সাধারণত তুরস্ক কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে কাজের জন্য শুধু তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খোলা আছে। তবে সব সময় তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না।
বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে তুরস্কের সরকার বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ করে। তখন অল্প খরচে সরকারিভাবে তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এছাড়াও এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করা যায় কিন্তু অনেক বেশি খরচ পড়ে। তবে তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার আগে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। তাই আজকের পোস্টে তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য এবং কাজের বেতন তুলে ধরবো।
তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
যদি তুরস্ক কাজের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে হবে। সাধারণত বর্তমান সময়ে যারা তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকের তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে তথ্য জানা থাকে না। মূলত তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যেও কয়েকটি ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। আর একেক ক্যাটাগরি কাজের বেতন একেক রকম ভাবে নির্ধারণ করা থাকে।
সরকারি শ্রমিক নিয়োগ ছাড়া তুরস্কের পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না। তবে এজেন্সির সাথে কথা বলে তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফি থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল খরচা অনেক বেশি হয়ে যায়। তবে ভিসা আবেদন করার আগে অবশ্যই তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজ রয়েছে তা জানতে হবে। তা এখন আপনাদের মাঝে তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজ আছে সেগুলো কাজের নাম তুলে ধরবো।
- কনস্ট্রাকশনের কাজ।
- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের কাজ।
- নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারের কাজ।
- থ্রিডি অ্যানিমেশন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ।
- ড্রাইভিং এর কাজ।
- হোটেল বা রেস্টুরেন্ট কর্মী এর কাজ।
- মিস্ত্রি এর কাজ।
- ক্লিনার এর কাজ ইত্যাদি।
তুরস্ক কাজের ভিসার দাম কত
সাধারণত তুরস্ক কাজের ভিসার দাম কাজের ধরনের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে। যদি ভালো কোন পোস্টে অভিজ্ঞতা নিয়ে তুরস্ক যেতে চান তাহলে ভিসার দাম অনেক বেশি পড়বে। মূলত তুরস্কের কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য সবসময় আবেদন করার সুযোগ থাকে না। যখন তুরস্কের সরকার কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয় তখন তুরস্ক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এছাড়াও বেসরকারিভাবে এজেন্সির সাহায্য নিয়েও তুরস্ক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং করতে আপনাদের অনেক টাকা খরচ পড়বে। তুরস্ক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চাইলে ৫,৫০০ টাকা থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত ভিসা আবেদন ফি দিতে হবে। তবে সময়ের ব্যবধানে ভিসা আবেদন ফি এর চেয়েও কম অথবা বেশিও লাগতে পারে। বর্তমানে তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা তুরস্ক কাজের ভিসার দাম হচ্ছে ৪ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু কিছু কিছু সময়ে তুরস্ক কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে এর চেয়েও বেশি খরচ হয়ে যায়।
তুরস্ক কাজের বেতন কত
তুরস্কে কাজের জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হবে। বর্তমান সময়ে অনেকে এখন তুরস্কে বিভিন্ন কাজের জন্য যেতে চায়। কিন্তু তাদের তুরস্ক কাজের বেতন কত বা তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বেতন কত তা জানা থাকে না। মূলত কাজের ধরন এবং কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে তুরস্কে বেতন দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যদি আপনাদের কাজের ওপর ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে মাসে ভালো একটি পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
যারা তুরস্ক নতুন অবস্থায় কাজের জন্য যাবে তারা মাসে বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে। এছাড়াও যাদের কাজের ধরন ভালো এবং কাজের অভিজ্ঞতা আছে তারা প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবে। তবে যদি কনস্ট্রাকশন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ও ডেভলপমেন্ট থ্রিডি অ্যানিমেশন ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি এইসব কাজে যদি যেতে পারেন তাহলে মাসে ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ তুরস্ক ভিসার দাম কত ও তুরস্ক যেতে কত টাকা লাগে
তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে
বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় দেশগুলির তুলনায় তুরস্কের সব ধরনের কাজের মান এবং কাজের বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়। তবে আগের তুলনায় এখন তুরস্কে যেতে অনেক টাকা খরচ হয়। তবে সার্কুলার অনুযায়ী যদি ভিসা করে নিতে পারেন তাহলে খুব অল্প টাকায় তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে পারবেন। এছাড়াও বেসরকারিভাবে অর্থাৎ এজেন্সির সাথে কথা বলেও ভিসার আবেদন করা যায় তবে সরকারির তুলনায় অনেক বেশি খরচ হয়।
এজন্য যখন তুরস্কের সরকার বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয় তখন নিজেরাই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সরকারিভাবে তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। বর্তমানে তুরস্ক কাজের ভিসা বা তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে ৮ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। তবে সময়ের ব্যবধানে খরচ এর চেয়ে কম অথবা বেশিও হতে পারে।
তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং টাইম
বর্তমান সময়ে যারা তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা তুরস্ক কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোক তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে তা জানার আগ্রহ করে। মূলত যদি আপনাদের ভিসা আবেদনের সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রদান করেন তাহলে অল্পদিনেই ভিসা প্রসেসিং কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সাধারণত তুরস্কের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে ৩০ দিন থেকে ৪৫ সময় লাগে কিন্তু সময়ের ব্যবধানে ভিসা প্রসেসিং হতে সময় বেশি লাগতে পারে।
শেষ কথাঃ
অনেকে এখন তুরস্ক কাজের জন্য অর্থাৎ তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ লোকের তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা থাকে না। তাই প্রিয় গ্রাহকদের সুবিধার্থে আজকের পোস্টে তুরস্ক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য এবং কাজের বেতন তুলে ধরেছি। আশা করি আপনারা এ বিষয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।