ইরাকের ভিসার দাম কত | কাজের বেতন কত ২০২৪

ইরাকের ভিসার দাম কত | কাজের বেতন কত ২০২৪, ইরাক হচ্ছে মধ্যপ্রাচের একটি সুন্দরতম দেশ আর এর রাজধানী হচ্ছে বাগদাদ তাই এই শহরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই সেখানে প্রচুর পরিমাণ কাজ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশী অনেক নাগরিক আছে যারা এই বাগদাদ শহরে বহুদিন ধরে কাজের উদ্দেশ্যে বসবাস করে যাচ্ছে। ইরাকের দক্ষিণে অবস্থিত কুয়েত এবং সৌদি আরব আপনারা অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশী টাকার মানের থেকে ইরাকের টাকার মান অনেকটাই কম।

কিন্তু দেশটি বাংলাদেশের চেয়েও অর্থনীতিতে অনেক এগিয়ে আছে। এছাড়াও দেশটি অনেক উন্নত হওয়ায় কারণে সব ধরনের কাজ-কর্মে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে ইরাক যাওয়ার জন্য আপনি কয়েক ধরনের ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে যারা ইরাকে কাজের উদ্দেশ্যে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ইরাকের ভিসার দাম কত সেই সম্পর্কে জানেন না।

তবে আপনারা ইরাকের যে কোনো ভিসা করার আগে অবশ্যই ইরাকের ভিসার দাম কত তা জেনে নিবেন কারণ ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও ইরাকের ভিসার দাম কত তা যদি না জানেন তাহলে আপনি ইরাকে যেতে এজেন্সি অথবা দালালের কাছে প্রতারিত হবেন। তাই আজকের পোস্টে ইরাকের ভিসার দাম কত এবং ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে সহ আরো কিছু বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানাবো।

ইরাকের ভিসার দাম কত

যারা ইরাকে কাজের জন্য অথবা কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছে তারা খুব সহজেই যেতে পারবেন। বর্তমান এই সালে ইরাকে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। আর আপনারা ইরাকের কাজের ভিসা খুব সহজেই এজেন্সির মাধ্যমে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এছাড়াও বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা ইরাকে ভ্রমণ করার জন্য ইরাকের টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করে।

বর্তমানে আপনারা যারা ইরাকের যেকোনো ভিসা আবেদন করতে চাচ্ছেন তাদের ভিসা আবেদন করতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে। তবে ভিসা প্রসেসিং হয়ে গেলে আপনাকে ভিসার জন্য সবগুলো টাকা জমা দিয়ে ভিসা সংগ্রহ করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ইরাকে যেতে ভিসা খরচ এবং বিমান খরচ সহ সর্বমোট ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।

ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা ইরাকে কাজের জন্য অথবা ভ্রমণ করার জন্য যেতে চাচ্ছে কিন্তু তাদের ইরাকে যেতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে ধারণা থাকে না। বর্তমানে ইরাকের ভিসা আবেদন করতে খুব একটা টাকা লাগে না তবে বাংলাদেশের অনেক দালাল এবং এজেন্সি রয়েছে যারা সাধারন মানুষের কাছ থেকে ভিসা আবেদনের জন্য বাড়তি টাকা নিচ্ছে। এছাড়াও আগে মাত্র ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হলেই ইরাকে কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়া যেত।

কিন্তু বর্তমানে অনেক প্রতারক দালাল এবং এজেন্সি বেড়ে যাওয়ায় কারণে বর্তমানে এখন ইরাকে যেতে প্রায় ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়। তবে আরো কিছু দালাল বা এজেন্সি আছে যেগুলোতে তুলনামূলকভাবে এর থেকেও বেশি টাকা নিয়ে থাকে তবে আপনারা সব চেষ্টা করবেন ইরাকের কোন স্থায়ীও পরিচিত লোকের কাছ থেকে ভিসা করে নিতে।

ইরাকে কাজের ভিসা দাম কত

বর্তমানে ইরাকে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ৫০,০০০ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইরাক সরকার। এজন্য বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা ইরাকে কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছে কিন্তু তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ইরাকের কাজের ভিসার দাম কত তা জানে না। আপনি যদি ইরাকের কাজের ভিসা করার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনার ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।

তবে আপনাদের কাজের ভিসার প্রসেসিং হয়ে গেলে সংগ্রহ করার জন্য ভিসার যাবতীয় সব টাকা পরিশোধ করে ভিসা সংগ্রহ করে নিতে হবে। আপনাদের ইরাক যেতে ভিসা সহ সব ধরনের খরচ দিয়ে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে। কিন্তু বাংলাদেশের কিছু কিছু দালাল বা এজেন্সি রয়েছে যেখানে এর থেকেও বেশি টাকা খরচ হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ তুরস্ক ভিসার দাম কত ও কাজের বেতন কত

ইরাকে টুরিস্ট ভিসার দাম কত

বাংলাদেশের হাজারো মানুষ রয়েছে যারা ইরাকে ভ্রমণ করার জন্য অর্থাৎ টুরিস্ট ভিসা যেতে চাচ্ছে কারণ দেশটি প্রকৃতির দিক থেকে অনেক সুন্দর এবং উন্নত। তবে অধিকাংশ লোকের জানা নেই ইরাকে টুরিস্ট ভিসার দাম কত বা টুরিস্ট ভিসা করতে কত টাকা খরচ পড়বে। আর ইরাকের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া বর্তমানে খুবই সহজ।

এছাড়াও ভিসা আবেদনের জন্য আপনার ৪৫-৫০ মার্কিন ডলার খরচ পড়বে যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ইরাকে ওয়ান ওয়ে বিমান ভাড়া ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে আপনাদের ইরাকে টুরিস্ট ভিসায় যেতে সব ধরনের খরচ সহ ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।

ইরাকে কোন কাজে চাহিদা বেশি

বর্তমানে যারা বাংলাদেশ থেকেই ইরাকে কাজের উদ্দেশ্যে অথবা কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে বিষয়ে জানতে চায়। এছাড়াও ইরাকে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে আপনার যদি কোন কাজের ওপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ইরাকে গিয়ে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও ইরাকে অভিজ্ঞ কাজের লোকদের অনেক মূল্যায়ন করা হয়।

তাই এখন আপনাদের জানাবো বর্তমানে ইরাকে কোন কাজের চাহিদা বেশি। যেমন বর্তমানে ইরাকে রেস্টুরেন্টের কাজ, সেলসম্যান, ইনডোর ক্লিনার, ড্রাইভিং এবং মেডিক্যাল বা হাসপাতাল ক্লিনারের বর্তমানে ইরাকে প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং ইরাকে এসব কাজের বেতনও অনেক বেশি। এছাড়াও যদি এই সকল কাজের উপর যদি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে প্রতি মাসে আরো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইরাকে কাজের বেতন কত

যারা ইরাকে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ইরাকে কাজের বেতন কত টাকা সে বিষয়ে জানা নেই। এজন্য অধিকাংশ লোক ইরাকে কাজের বেতন কত তা জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন।

তাই এখন আপনাদের জানাবো ইরাকে কাজের বেতন কত বা ইরাকের বেতন কেমন? বর্তমানে ইরাকে আপনি যেকোন কাজের ভিসায় যান না কেন প্রতি মাসে সর্বনিম্ন বাংলাদেশী টাকায় ৩০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে সম্পূর্ণ আপনার কাজের ক্যাটাগরি এবং আপনার কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে।

এছাড়াও আপনারা যদি ইরাকে ড্রাইভিং ভিসায় গিয়ে থাকেন তাহলে প্রতি মাসে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও যদি ইরাকে রেস্টুরেন্টের কাজে যেতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

আজকের পোস্টে ইরাকের ভিসার দাম কত এবং ইরাক যেতে কত টাকা লাগে সহ ইরাকের ভিসার দাম কত তা জানানোর চেষ্টা করেছি। যদি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। এছাড়াও এরকম আরো নতুন নতুন কিছু তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

Leave a Comment