সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | সার্বিয়া কাজের বেতন কত ২০২৪

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | সার্বিয়া কাজের বেতন কত ২০২৪, ইউরোপের মধ্যে সুন্দর এবং উন্নত একটি রাষ্ট্র হচ্ছে সার্বিয়া। এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ শ্রমিকদের স্বপ্ন ইউরোপের মধ্যে যেকোনো একটি রাষ্ট্রে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবে। সার্বিয়াতে অনেক সুযোগ-সুবিধার কারণে বেশিরভাগ মানুষ এখন সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং সার্বিয়া কাজের ভিসায় গিয়ে থাকে। এছাড়াও সার্বিয়া যাওয়ার জন্য আরো কিছু ভিসা রয়েছে তবে অন্যান্য ভিসার তুলনায় সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সব সময় সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করা যায় না।

যখন সার্বিয়ার সরকার বিভিন্ন কাজের চাহিদা অনুযায়ী সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দিবে তখন আপনারা খুব সহজেই সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও এজেন্সির সাথে কথা বলেও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে আপনাদের সবমিলিয়ে অনেক বেশি খরচ পড়বে। তাই আজকের পোস্টে সবার সুবিধার্থে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং বিভিন্ন কাজের বেতন সহ আরো কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

মূলত সার্বিয়া হচ্ছে ইউরোপের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে যেতে আপনাদের অনেক বেশি টাকা খরচ পড়বে। তবে যদি আপনারা সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন তাহলে খুব অল্প টাকায় সার্বিয়া পৌঁছে যেতে পারবেন। কিন্তু সব সময় সরকারিভাবে সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করা যায় না। যখন শ্রমিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে তখন আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে নিজেরাই সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনারা বেসরকারিভাবে যেকোনো এজেন্সির সাথে আলাপ করেও সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে আপনাদের অনেক খরচ পড়বে। এছাড়াও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যেও কয়েক ধরনের কাজ রয়েছে। আর সেগুলো একেক কাজের বেতন একেক রকম ভাবে নির্ধারণ করা থাকে। সেক্ষেত্রে যদি সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে ৭ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে কি কি কাজ আছে।

  • মেকানিক্যাল এর কাজ।
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ।
  • ইলেক্ট্রনিক্স এর কাজ।
  • ড্রাইভিং এর কাজ।
  • শেফ এর কাজ।
  • প্লাম্বার এর কাজ।
  • হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এর কাজ।
  • নির্মাণ কাজের শ্রমিক ইত্যাদি।

সার্বিয়া বেতন কত

সাধারণত সার্বিয়া কাজের ধরন এবং কাজের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে বেতন দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে যদি আপনাদের কাজের ধরন অনেক ভালো হয় এবং ওই কাজের ওপর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও সার্বিয়ায় শুধু যে সাধারণ মানের কাজ পাওয়া যায় তা কিন্তু না বর্তমান সময়ে সার্বিয়ায় অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো কোম্পানিতে সাধারণ কাজের তুলনায় বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়।

মূলত সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যেও কয়েক ধরনের কাজ রয়েছে আর সেগুলো একেক কাজে একেক রকম ভাবে বেতন নির্ধারণ করা থাকে। এখন সার্বিয়াতে সবচাইতে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিশিয়ান এবং ইলেক্ট্রনিক্স কাজের চাহিদা এবং বেতন অনেক বেশি পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে সার্বিয়া বেতন হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে যদি আপনাদের কাজের ধরন এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে মাসে ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন

বর্তমান সময়ে আপনারা সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন কয়েকটি উপায়ে করতে পারবেন। সার্বিয়ার সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী আপনারা অনলাইনে খুব সহজে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও কোন এজেন্সির সাথে আলাপ করেও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন সেক্ষেত্রে সব মিলিয়ে আপনাদের ভিসা খরচ অনেক বেশি পড়বে। তবে সার্বিয়ায় যদি আপনাদের পরিচিত কোন কাছের লোক থাকে তাহলে তাদের সাহায্য নিয়ে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

যদি ঘরে বসে ইন্টারনেটে সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে গুগল ক্রমে প্রবেশ করে সার্চ অপশনে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন লিখে সার্চ করলেই সর্বপ্রথম ভিসা আবেদনের জন্য একটি ওয়েবসাইট চলে আসবে। সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবতীয় সকল তথ্য দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে।

  • একটি বৈধ পাসপোর্ট।
  • পাসপোর্ট সাইজের কয়েকটি রঙিন ছবি।
  • ইনভাইটেশন লেটার।
  • ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা।
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট।
  • নিজের হাতের লেখার একটি কভার লেটার।
  • ইনকাম ট্যাক্স রিপোর্ট ফটোকপি।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে যে কাজের ভিসায় যাবেন ওই ভিসার অনলাইন আবেদন ফরম।

আরো পড়ুনঃ সার্বিয়া যেতে কত টাকা লাগে ও ভিসা খরচ কত

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক

এখন অনেকে সার্বিয়ার সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী সার্বিয়া কাজের ভিসা অথবা সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। এছাড়াও আরো কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা সরাসরি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করে আবার অনেকে দালালের মাধ্যমেও সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু প্রতারক দালাল এবং কিছু এজেন্সির লোক রয়েছে যারা সাধারণ মানুষদের নকল ভিসা হাতে ধরিয়ে দেয়।

এজন্য অনেকে তার হাতে থাকা ভিসাটি আসল নাকি নকল তা চেক করতে চায়। বর্তমান সময়ে অনলাইন যুগে আপনারা ঘরে বসে খুব সহজেই সার্বিয়ার যেকোনো ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি নিজেরা অনলাইনে মাধ্যমে খুব সহজে আপনার হাতে থাকা ভিসাটি চেক করতে চান তাহলে https://www.companywall.rs/ এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে খুব সহজেই ভিসাটি চেক করে নিতে পারবেন।

সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং টাইম

হয়তো অনেকে সার্কুলার অনুযায়ী সার্বিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতেছে আবার অনেকে এজেন্সির মাধ্যমে সার্বিয়ার কাজের ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতেছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষের সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে তা বিস্তারিতভাবে জানা থাকে না।

সাধারণত যদি আপনারা আবেদনের সময় যাবতীয় কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে অল্প দিনেই সার্বিয়ার ভিসাটি হাতে পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে যদি আপনারা কাগজপত্র গুলো সঠিকভাবে না দেন তাহলে অনেক সময় লেগে যায়। সাধারণভাবে সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে ৯০ দিন থেকে ১২০ দিন সময় লাগে কিন্তু মাঝে মাঝে ৩-৭ দিন পর্যন্ত সময় বেশি লেগে যায়।

শেষ কথাঃ

সার্বিয়া হচ্ছে ইউরোপের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে অনেকে বিভিন্ন কাজের জন্য সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চায় কিন্তু তাদের সার্বিয়ার পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং বিভিন্ন কাজের বেতন জানা থাকে না। তাই আজকের পোস্টে সবার সুবিধার্থে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং কাজের বেতন তুলে ধরেছি। আশা করি আপনারা সবাই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Comment